বাজরিগার পাখির কৃমি কোর্স (২০ দিন)

পাখির বয়স ৩ মাস পার হলে প্রতি ৪ মাস পর পর কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কৃমিনাশক ঔষধ ব্যবহার করা জরুরি। বিশেষ করে ব্রিডিং এ দেয়ার আগে কৃমিনাশক ব্যবহার করা উচিত।

কারণ ব্রিডিং সিজনে কৃমি কোর্স না করালে পাখি ডিম দিলেও অনেক সময় ডিমে ব্লাড লাইন আসবে না। ফলে ব্রিডার আশাহত হবেন। কৃমিনাশক পাখিকে দুর্বল করে, তাই কৃমিনাশক দেওয়ার পূর্বে ও পরে পাখিকে মাল্টিভিটামিন দিতে হবে।

  • ১ম-৩য় দিন পাখিকে মাল্টিভিটামিন দিতে হবে
    • যে কোন মাল্টিভিটামিন ১ গ্রাম, ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
    • ৬ ঘন্টা পর ঔষধ মিশ্রিত পানি ফেলে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
  • ৪র্থ-৬ষ্ঠ দিন পাখিকে বিশ্রাম দিতে হবে
    • এগফুড, সফট ফুড, শাকসবজি দেয়া যাবেনা।
    • পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
  • ৭ম দিন পাখিকে কৃমিনাশক দিতে হবে
    • আলবেনডাজল গ্রুপের যে কোন সাসপেনশন ১ লিটার পানিতে ৫ মিলি মিশিয়ে ১ দিন ৩ ঘন্টার জন্য পাখিকে দিতে হবে।
    • তারপর ঔষধ মিশ্রিত পানি ফেলে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।

 

বাজরিগার পাখির কৃমি কোর্স (২০ দিন)
  • ৮ম-১০ম দিন পাখিকে বিশ্রাম দিতে হবে
    • কোন ধরণের ঔষধ দেয়া যাবেনা।
    • পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
  • ১১তম-১৩তম দিন পাখিকে লিভার টনিক দিতে হবে
    • যে কোন লিভার টনিক ১ মিলি, হাফ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩ দিন ৬ ঘন্টার জন্য দিতে হবে।
    • তারপর ঔষধ মিশ্রিত পানি ফেলে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
    • যে কোন একদিন খাঁচার ট্রে এসিমেক ১% দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে কৃমির ডিম ও লার্ভা মারা যাবে।
  • ১৪তম-১৫তম দিন পাখিকে বিশ্রাম দিতে হবে
    • কোন ধরণের ঔষধ দেয়া যাবেনা।
    • পাখিকে এগফুড, সফট ফুড, শাকসবজি,ফলমূল দেয়া যাবে।
    • পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
  • ১৬তম-২০তম দিন পাখিকে আবার মাল্টিভিটামিন দিতে হবে
    • যে কোন মাল্টিভিটামিন ১ গ্রাম, ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
    • ৬ ঘন্টা পর ঔষধ মিশ্রিত পানি ফেলে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।

বি. দ্র : অত্যধিক গরমের সময় পাখিকে কৃমিনাশক দেয়া যাবে না। কারন কৃমিনাশক দিলে এদের শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়। তাই ঠান্ডা আবহাওয়ায় কৃমিনাশক ব্যবহার করতে হয়।